Sunday, January 25, 2015

Elance Time Tracker

How do I install Tracker for Linux?
Tracker requires AIR 2.6, however at this time AIR 2.6 does not support 64-bit Linux Distribution. A forced installation of Tracker will need to be done in order to complete the installation process. For more information regarding AIR 2.6 and Linux, please review the Adobe AIR help page.
The following error will display if you are running 64-bit Linux:

https://lh5.googleusercontent.com/pe0myxUVLXR310_gBWVqWfja0koyVB-2q5VdpD1sVHKyceyYIBCF4Muuld7MWKbgdVrAMN5_Bds_qzqgeJ4JTl2Iu34uuCLgMj_eY41EsKmQwffcqdT_jltaCvCYpWuU4w

Complete the following steps to complete installation if you see this error:
  1. Go to http://get.adobe.com/air/ and download the linux version of AIR 2.6
  2. Manually install AIR 2.6 onto your Linux machine.
  3. Force installation of Tracker:  sudo dpkg -i --force-architecture TrackerSetup_v2.1.1.deb
Note:  For updates, it will be necessary to find where the updated file was downloaded. The file will download to .appdata/com.tracker.elance/Local Store/updates. Locate the new file and force the installation.
For more information on Tracker, go here.
In order to use the Elance Tracker software, the minimum requirements are as follows.
For Windows:
·         Operating System - Windows XP/Vista/7/8/8.1
·         Processor - Intel Pentium II 450MHz, AMD Athlon 600MHz or faster processor (or equivalent) or PowerPC G3500MHz or faster processor
·         Memory - 256MB of RAM
·         Disk Space - 250MB
For Mac:
·         Operating System - Mac 10.4+ (Tiger, Leopard, Snow Leopard)
·         Processor - Intel Core Duo 1.33GHz or faster processor (PowerPC not supported)
·         Memory - 256MB of RAM
·         Disk Space - 250MB
For Linux:
·         Processor - Intel Pentium III processor (Pentium 4 recommended)
·         Fedora Core 10, Ubuntu 9.04, or openSUSE 11.1
·         1GB of RAM
Note: 64 bit Linux machines are not currently supported.
·         Tracker also requires the latest version of Adobe Air. When you download Tracker, it should automatically prompt you to download the latest version (if you don't already have it). However, in some cases this step doesn't complete properly. If this happens, you can get the latest version of Adobe Air at http://get.adobe.com/air/

Troubleshooting Tips

Q: I'm having trouble signing into Tracker.

A: You will need to sign in with your Elance account information. If you have difficulty signing in, you can use the Forgot username or Forgot password links.

Q: I'm having trouble connecting to Tracker. I'm getting the message "Network error."

A: There could be a few issues disrupting your connection to Tracker:
1.      Use Internet Explorer - Tracker uses the same settings as Internet Explorer. If you aren't using IE already, try sigining into www.elance.com using IE and then sign into Tracker. If you are able to connect, use IE for future Tracker usage, or make sure your other browser is up to date.
2.      Disable Firewalls - Be sure you don't have any firewall software blocking Tracker. If you do have firewall software running, turn this firewall off temporarily and try reconnecting to Tracker to see if this is causing the issue.
3.      Restart Tracker - Some systems (especially old XP's) won't reconnect if the connection was disrupted for a while. In such cases, simply try restarting Tracker (or restart your computer entirely).
4.      Check your network connectivity - First, restart your router or modem to see if this resolves the issue. If not, you may have the proper connection to the Internet to perform normal duties, but in some instances the upload speeds are not enough to support Tracker. Tracker updates relatively large files every 12 minutes (the screenshot could be up to 300 KB depending on settings). Some ISPs have limited uploading bandwidth. A stable network connection is required in order to use Tracker, so contact your ISP or network provider if you find your network connection continues to fail. 
Still not able to connect? Contact Elance Customer Support and send us a screenshot of the error you are receiving as well as the log files from Tracker. This information will help us troubleshoot your issue.
To find the log files, please do the following:
1.      Open Tracker and click on Help.
2.      Click on Find Log Files.
3.      A folder will open with the log files for each day you have run Tracker with the dates as the file names.
4.      Copy and paste the log files for the days that you are receiving the error message and attach them to your Customer Support message.

Q: I received a "File Damage" error message.

A: It is likely you need to reinstall Tracker on your system. Complete the following steps in order to ensure a proper re-installation of Tracker:
1.      Uninstall Adobe Air.
2.      Uninstall Tracker by following the instructions above.
3.      Visit http://get.adobe.com/air/ and download Adobe Air.
4.      Visit https://www.elance.com/php/tracker/main/trackerDownload and download a new copy of Tracker.

Q: I'm getting an "Invalid Payload" error message when using Tracker.

A: Please contact Elance Customer Support with the specifics of this issue. To help our review, please send us a screenshot of the error you are receiving as well as the log files from Tracker.
To find the log files, please do the following:
1.      Open Tracker and click on Help.
2.      Click on Find Log Files.
3.      A folder will open with the log files for each day you have run Tracker with the dates as the file names.
4.      Copy and paste the log files for the days that you are receiving the error message and attach them to your Customer Support message.


Thursday, January 22, 2015

ইল্যান্স বাংলাদেশ অফিস

বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সুখবর! ঢাকার ধানমন্ডিতে চালু হয়েছে ইল্যান্স বাংলাদেশ অফিস! নতুন অথবা অভিজ্ঞ যেকোনো ফ্রিল্যান্সার এখানে এসে ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার বিষয়ক পরামর্শ নিতে পারবে। এই অফিসে নিয়মিতভাবে বসবেন ইল্যান্সের বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান।

ইল্যান্স বাংলাদেশ অফিসের ঠিকানা:

মমতাজ প্লাজা (৪র্থ তলা), স্যুইট ৪সি-২,
বাড়ি নং ৭, রোড নং ৪, ধানমন্ডি, ঢাকা।
(ল্যাব-এইড হাসপাতালের বিপরীতে)

গুগলে লোকেশন ম্যাপ: http://goo.gl/yE29En

অফিসে যোগাযোগের/সাক্ষাতের নিয়ম:

  • ইল্যান্স অফিসে সাক্ষাতের জন্য অবশ্যই আগে থেকে এপয়েন্টমেন্ট করে আসতে হবে। এপয়েন্টমেন্ট করতে আপনার ফোন নম্বর এবং যোগাযোগের কারণসহ ইমেইল করুন এখানে: skhan@elance.com। ইমেইলে অথবা ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে সাক্ষাতের দিন/সময় কনফার্ম করা হবে।
  • প্রতি সপ্তাহে অন্তত একদিন সারাদিনের জন্য ওপেন অফিস আওয়ার থাকবে। এদিন অফিসে সাক্ষাতের জন্য কোন এপয়েন্টমেন্ট প্রয়োজন হবে না। ওপেন অফিস আওয়ার কবে হবে সেটা ইল্যান্স বাংলাদেশ পেজে (www.facebook.com/elancebangladesh) ইভেন্ট তৈরি করে জানিয়ে দেয়া হবে।

যেকোনো প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।

ধন্যবাদ!

ইল্যান্স 

মার্কেটপ্লেসে যেভাবে নিজেকে কমপ্লিট প্যাকেজ হিসেবে তৈরি করবেন

ফ্রিল্যান্সিং – বর্তমানে বাংলাদেশে আইটি সেক্টরে সম্ভবত অন্যতম একটি শব্দ এটি। দেশের প্রচুর ওয়েবসাইট ডেভেলপার, গ্রাফিক ডিজাইনার, রাইটার, মার্কেটার বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সফলতার সাথে কাজ করছে, আবার অনেকে নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে মার্কেটে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে। তবে নতুনদের কাছে যে বিষয়টা প্রায়ই শোনা যায়, তা হল এই পেশায় সহজে সাফল্য পাওয়া যায়না। বিষয়টা কিছুটা হলেও সত্যি। যেকোনো একটি নির্দিষ্ট কাজের এবং ইংরেজি মাধ্যমে যোগাযোগের দক্ষতা না থাকলে আসলে এই পেশায় সাফল্য পাওয়া অনেকখানি অসম্ভব। তবে হ্যাঁ, এই দুটো থাকলেই যে সাফল্যের চুড়ায় যাওয়া যাবে, তাও ঠিক নয়। সাময়িক সাফল্য পাওয়া এবং নিজেকে একটি পেশায় প্রতিষ্ঠিত করা এক নয়। যদি লম্বা ভবিষ্যৎ ঠিক করে এই পেশায় এগিয়ে যেতে চান, তাহলে নিজেকে একটি কমপ্লিট প্যাকেজ হিসেবে তৈরি করতে হবে, যাতে শুধু কাজের দক্ষতা নয়, অন্যান্য সকল দিক দিয়ে নিজেকে আন্তর্জাতিক মানের একজন পেশাজীবী হিসেবে তৈরি করা যায়। আসুন আজকে সেটারই কিছু ধাপ নিয়ে আলোচনা করি।

মার্কেটপ্লেসের প্রোফাইল:

বর্তমানে ৪-৫টি আন্তর্জাতিক মানের ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস রয়েছে, যেখানে কাজ করে বড় ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। এই মার্কেটপ্লেসগুলোর প্রতিটিতেই একটি বিষয় কমন থাকে – সেটা হল একটি ভালো প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। সাধারণ কাজে যেমন সিভি দেখে চাকরি দেয়া না দেয়ার বিষয়টি নির্ধারণ হয়, তেমনি অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আপনার প্রোফাইল দেখেই ক্লায়েন্ট বিবেচনা করবে আপনি কাজ পাওয়ার জন্য কতখানি যোগ্য। এর জন্য প্রোফাইলটিকে যতটুকু সম্ভব আকর্ষণীয় করে পূরণ করুন। যেগুলো না থাকলেই নয়:
  • হাসিমুখে তোলা একটি ছবি, যেখানে আপনার চেহারা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে
  • স্কিল টেস্ট দেয়া থাকলে ভালো। ইল্যান্স.কমে ফ্রিতেই প্রচুর স্কিল টেস্ট দেয়া যায়। স্কিল টেস্ট দেয়া থাকলে ক্লায়েন্ট বুঝবে যে আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নতুন অথবা অভিজ্ঞ যাই হোন না কেন, সেই স্কিলে আপনার যথেষ্ট তাত্ত্বিক জ্ঞান আছে
  • পোর্টফলিও আইটেম অ্যাড করা উচিৎ। পোর্টফলিও আইটেম হিসেবে নিজের তৈরি লোগো, নিজের বানানো ওয়েবসাইটের স্ক্রিনশট, ইউনিভার্সিটিতে তৈরি করা কোন প্রেজেন্টেশন, কোন সার্টিফিকেটের স্ক্যান করা ইমেজ, ইত্যাদি দেয়া যেতে পারে। এর সাথে যদি স্কিল টেস্ট থাকে, তাহলে ক্লায়েন্ট যেনে যাবে, যে আপনার শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞান আছে তাই নয়, তার সাথে প্র্যাক্টিকাল কাজ করার অভিজ্ঞতাও আছে।
  • আপনার একাডেমিক হিস্ট্রি (কোথায় পড়াশোনা করেছেন, কি ডিগ্রি আছে, ইত্যাদি) আপনার প্রোফাইলে আপডেট করুন। একই সাথে যদি কোন জব হিস্ট্রি থাকে সেটাও দিয়ে দিন।
বিষয়টি অনেকটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার মত। একদম খালি একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দিয়ে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠালে যেমন কেউ আপনাকে সহজে অ্যাড করবে না, ঠিক তেমনি একদম খালি, অনাকর্ষণীয় একটি ফ্রিল্যান্স প্রোফাইল তৈরি করে কাজে আবেদন করলে ক্লায়েন্টরাও সাড়া দিবে না।

ক্লায়েন্টের কাছে কাজের আবেদন করা:

যখন কোন কাজে আবেদন করবেন, অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন আপনার লেখার ধরন প্রফেশনাল হয়। কখনই, কখনই কপি-পেস্ট করে আবেদন পাঠাবেন না। এটা করলে কাজ পাওয়া দুরহ তো হবেই, বরং অনেক ক্লায়েন্ট আপনার লেটার স্প্যাম হিসেবে মার্ক করলে মার্কেটপ্লেসের অ্যাকাউন্টটি হারাতে পারেন আপনি। যেটা করা উচিৎ সেটা হল প্রতিটি জব ভালোভাবে পড়ে, তারপর চিন্তা করে গুছিয়ে একটি লেটার লিখে পাঠানো। এক্ষেত্রে আপনি একটি ফরম্যাট ফলো করতে পারেন, যেমন:
  • Hello, Good Day, Good Morning অথবা Evening, ইত্যাদি দিয়ে শুরু করতে পারেন (Dear Sir/Madam, Dear Manager, ইত্যাদি না দিলেই ভালো)
  • তারপর এক লাইন আপনি তার কাজের বিষয়ে কোন প্রশ্ন করতে পারেন, এক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট বুঝবে আপনি তার জবটি পড়েছেন
  • তারপর ২-৩টি লাইন লিখুন আপনার কোন স্কিলটি তার প্রোজেক্টে কাজে আসবে, এবং কেন
  • তারপর ৪-৫টি বুলেট পয়েন্ট করে লিখুন আপনি তার কাজটি পেলে কি কি ধাপে করবেন
  • আপনি কোন ফাইল এটাচ করে থাকলে উল্লেখ করুন
  • এবং সর্বশেষে ধন্যবাদ দিয়ে আপনার লেটার শেষ করুন
এভাবে একটি ফরম্যাট ফলো করলে দেখবেন কখনই কপি-পেস্ট করতে হবে না। তবে হ্যাঁ, দুটি ব্যাপার কখনই করবেন না – একটা হল লেটারে নিজের ইমেইল অথবা যোগাযোগের কোন আইডি উল্লেখ করবেন না, এবং কখনই আপনাকে যেন কাজটি দেয় এটা নিয়ে জোর করবেন না। নাহলে ক্লায়েন্ট আপনাকে আনপ্রফেশনাল ভাবতে পারে।

এছাড়া আবেদনের ক্ষেত্রে কখনই খুব কম প্রাইসে বিড করবেন না। ১৫টার একটি পানির বোতল যদি আপনার কাছে ৫টা চায়, তাহলে যেভাবে সেটা কিনতে আপনার সন্দেহ হবে, তেমনি খুব কম প্রাইসে কাজে বিড করলে আপনার যোগ্যতা এবং দক্ষতা নিয়েও ক্লায়েন্টের সন্দেহ হবে। মার্কেট যাচাই করুন, অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের প্রোফাইলে দেখুন তাদের রেট কত, তারপর নিজের একটি স্ট্যান্ডার্ড প্রাইস সেট করুন।

গুগল, গুগল, এবং গুগল:

সর্বশেষে না বললেই নয়, গুগলকে নিজের সবচেয়ে কাছের বন্ধু বানিয়ে ফেলুন। যেকোনো সফল ফ্রিল্যান্সারকে জিজ্ঞেস করলেই দেখবেন, প্রত্যেকেই বলবে তারা অনেক কিছু গুগল সার্চ করে জেনেছে। বিষয়টি আসলেই সত্যি। আমরা অনেক সময়ই অনেক ধাপে আটকে যাই, তখনি গুগল সার্চ করুন, দেখবেন প্রচুর রিসোর্স ইতিমধ্যে অনলাইনে আছে যা আপনাকে সাহায্য করবে। প্রোফাইল কমপ্লিট করতে পারছেন না? গুগলে গিয়ে সার্চ দিন, “How to complete Elance profile”। প্রপোজাল লেটার লিখতে সাহায্য দরকার? গুগলে সার্চ দিন, “How to write a perfect Elance proposal”। ফটোশপে কাজ করতে গিয়ে আটকে গিয়েছেন, গুগলে গিয়ে Photoshop Help অথবা Photoshop Tutorial Video লিখে সার্চ করুন, দেখবেন হাজার হাজার রিসোর্স আছে সাহায্যের জন্য। যেহেতু আমরা মুক্ত-পেশাজীবী হিসেবে নিজেকে গঠন করতে চাচ্ছি, নিজে থেকেই প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে বের করাটাও আমাদের আয়ত্ত করতে হবে।

এভাবে যদি নিজের ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার শুরু করেন, তাহলে আশা করা যায় খুব কম সময়েই সফলতা পাবেন, এবং সেটি দীর্ঘস্থায়ী হবে। তবে হ্যাঁ, শুরুতেই যেটা বলেছি, নির্দিষ্ট কোন কাজের এবং ইংরেজি মাধ্যমে যোগাযোগের দক্ষতা দরকার, সেটা কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না!

সাইদুর মামুন খান
কান্ট্রি ম্যানেজার, বাংলাদেশ
ইল্যান্স.কম

মার্কেটপ্লেসে নতুন হিসেবে যেভাবে শুরু করবেন

তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় ঘরে বসে আয় বা ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রথাগত চাকরির সময় মেনে অফিসে বসে কাজ করার থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ এনে দিয়েছে এই পেশাটি। গত কয়েক বছরে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং ক্ষেত্রটি দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সময়সূচীতে ধরাবাঁধা নিয়ম কিছুটা কম থাকে বলে ফ্রিল্যান্সাররা কাজে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। ২০১২ সারের ফ্রিল্যান্স ইন্ডাস্ট্রির তথ্য মতে, স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারায় ৯০ শতাংশ ফ্রিল্যান্সার সুখী এবং বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা হওয়া স্বত্বেও অর্ধেকের বেশি ফ্রিল্যান্সার চিন্তিত নয়। এটা বলা চলে, ৭৭ শতাংশ ফ্রিল্যান্সাররা আগামী এক বছরে তাদের ব্যবসা বা পেশা নিয়ে দারুণ আশাবাদী থাকে। অনেকেই এই সফলতা দেখে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং পেশায় আসতে চান। তবে কেউ কেউ মনে করে মার্কেটপ্লেসে অভিজ্ঞতা না হলে অথবা রেটিং না থাকলে এই পেশায় ভাল করা যায় না। তবে আসল কথা হল মার্কেটপ্লেস নিয়ে অভিজ্ঞ না হয়েও যদি কাজে দক্ষতা থাকে, তাহলে এই পেশায় আসা যায় এবং ইচ্ছা, পরিশ্রম ও ধৈর্য্য থাকলে অনেক ভালো করা যায়। কয়েকটি বিষয় মেনে চললে বা সিদ্ধান্ত নিলে আপনি এই পেশায় ভাল করতে পারেন।

১) লক্ষ্য নির্ধারণ করা

এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন কাজটি করতে চান বা আপনার কোন সেবা বিক্রি করতে চান সেটি আগে নির্ধারণ করতে হবে। অধিকাংশ মানুষ যে ভুলটি করে, তা হল অন্যরা কি করছে তা অনুসরণ করা। এ ক্ষেত্রে আপনার যে অভিজ্ঞতা আছে বা আপনার যে বিষয়টি ভালো লাগে সেটি নির্বাচন করা। আপনি যদি গণিতে ভাল হন, তাহলে আপনার লক্ষ্য হওয়া উচিত প্রোগ্রামিং। আর যদি আঁকাআঁকি ভাল লাগে তাহলে আপনার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন সবচেয়ে সুবিধাজনক হবে। যদি লেখালেখি ভাল লাগে তাহলে লেখালেখিতেই ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।

২) ভাল একটি ফ্রিল্যান্স প্রোফাইল তৈরি করা

ফ্রিল্যান্সারদের মূল সমস্যা হল তারা তাদের প্রোফাইল সুন্দর করে তৈরি করে না। অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সাররা ভাবে কাজের দক্ষতা অর্জনের পরেই প্রোফাইল তৈরি করা যায়। এটা একটি ভুল ধারনা। একজন ফ্রিল্যান্সারের স্কিল অর্জন করার আগে কাজে বিড করা উচিত নয়, তবে,  একজন ফ্রিল্যান্সারের যদি  মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট না থাকে এবং যদি প্রতিনিয়ত কাজের ধারাগুলো না দেখে, তাহলে কখনো জানতে পারবে না মার্কেটপ্লেসে কি কি ধরনের কাজ থাকে। স্কিলের পাশাপাশি মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ভাল ধারনা থাকতে হবে, কেননা কাজ করার আগে মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী।

৩) মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারনা নেওয়া

নতুন অবস্থায় একজন ফ্রিল্যান্সারের মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারনা নাও থাকতে পারে। তবে সঠিকভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে এ সম্পর্কে পূর্ণ ধারনা থাকা আবশ্যক। বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সার এ ধারনা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল সাইট গুলোতে প্রশ্ন করে থাকে। অথচ প্রতিটি অনলাইন মার্কেটপ্লেসে তাদের হেল্প সেন্টার থাকে, যেখানে অনেক সঠিক তথ্য পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, ইল্যান্সের হেল্প সেন্টারে (http://help.elance.com/home) শতাধিক সাহায্যকারী পোস্ট আছে। একজন ফ্রিল্যান্সারের নিয়মিত এই পোস্টগুলো দেখা উচিত। ভালো ভাবে জানার পরেই মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য বিড করা বা কাজ করা উচিত।

৪) বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা

আমরা একটি কম্পিউটার কিনতে গেলে শুধু একটি কম্পিউটারের কেসিং বা বাক্স কিনি না, এর সাথে প্রয়োজনীয় সকল যন্ত্রাংশও কিনি। তেমনি,  যখন কোন ক্লায়েন্ট একজন ফ্রিল্যান্সারকে হায়ার করবে সে একটি পরিপূর্ণ প্যাকেজ চায়। এক্ষেত্রে একটি প্রোফাইল তৈরি করাই যথেষ্ট নয়, একজন ফ্রিল্যান্সারকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে কাজটি করার জন্য তার কি যোগ্যতা আছে। বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে এবং যোগ্যতা প্রমাণ করতে একজন ফ্রিল্যান্সার দুটি কাজ করতে পারেনঃ

  • স্কিল টেস্টঃ একজন ফ্রিল্যান্সারের স্কিল টেস্টের মাধ্যমে তিনি কি কাজ করতে পারেন সে সম্পর্কে জানা যায়। ইল্যান্সে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য স্কিল টেস্টের ব্যবস্থা আছে, যেখান থেকে স্কিল টেস্ট দিয়ে আপনার দক্ষতা যাচাই করা খুবই সহজ। এই টেস্টগুলো বিনামূল্যে  দেওয়া যায় এবং কেউ যদি টেস্টে খারাপ করেন তাহলে টেস্টটি হাইড করতে পারবেন এবং পুনরায় টেস্টটি  ১৪ দিন পরে আবার দিতে পারবেন এবং এটাও আবার ফ্রিতেই দিতে পারবেন। যদি ফ্রিল্যান্সার তার প্রোফাইলে ভালো স্কোর দেখাতে পারেন, তাহলে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে নিশ্চয়তা অনেকাংশে বেড়ে যায়।
  • পোর্টফলিওঃ স্কিল টেস্ট প্রমান করে বৈষয়িক জ্ঞান, আর পোর্টফলিও প্রমাণ করে একজন ফ্রিল্যান্সারের দক্ষতা এবং হাতে কলমে কাজ করার অভিজ্ঞতা। একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার এর উচিত যত বেশি পোর্টফলিও সংযোগ করা। ওয়েব ডেভেলপার তার ডেভেলপ করা সাইটের স্ক্রিনশট নিয়ে আপলোড করতে পারেন, এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনার তার ডিজাইন তৈরি করে প্রোফাইলে যুক্ত করে দেখাতে পারেন। বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজগুলো সংযুক্ত করতে পারেন স্কিল হিসেবে। সার্ভিস হোল্ডাররা তাদের সার্টিফিকেট দিয়ে দিতে পারেন অভিজ্ঞতা হিসেবে। সর্বোপরি কোন প্রোফাইলের পোর্টফলিও একজন ফ্রিল্যান্সার যে বিষয়ে দক্ষ সে বিষয়ে তার পরিপূর্ণ দক্ষতা আছে সেটা প্রমাণ করে।

৫) নিজের প্রচারণা চালানো

নিজের ঢোল পেটানো কথাটি খারাপ শোনালেও একজন ফ্রিল্যান্সারের ক্ষেত্রে এটি তেমনটা নয়। আপনাকে যেহেতু আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মার্কেটে কাজ করতে হবে তাই আপনার পরিচিতি থাকা আবশ্যক। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নিজের অবস্থান তৈরি করতে আপনার ত্রুটিমুক্ত প্রোফাইল এর পাশাপাশি নিজেকে বিভিন্নভাবে তুলে ধরতে হবে। তাই সম্ভব হলে নিজের একটি পোর্টফলিও ওয়েবসাইট তৈরি করা ভালো। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটের প্রোফাইল ও পেজের মাধ্যমে আপনার এবং আপনার বিভিন্ন সেবা তুলে ধরতে পারেন। অবশ্যই প্রফেশনাল ছবি ও তথ্য শেয়ার করা উচিত। সামাজিক যোগাযোগ সাইটে আপনার পার্সোনালিটি নষ্ট হয় এমন কোন কিছু করা উচিত নয়। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করেন তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ প্রয়োজন।  এতে তাদের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। এভাবেই আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং জীবন শুরু করতে পারেন।

সর্বশেষে না বললেই নয়, গুগলকে নিজের সবচেয়ে কাছের বন্ধু বানিয়ে ফেলুন। যেকোনো সফল ফ্রিল্যান্সারকে জিজ্ঞেস করলেই দেখবেন, প্রত্যেকেই বলবে তারা অনেক কিছু গুগল সার্চ করে জেনেছে। বিষয়টি আসলেই সত্যি। আমরা অনেক সময়ই অনেক ধাপে আটকে যাই, তখনি গুগল সার্চ করুন, দেখবেন প্রচুর রিসোর্স ইতিমধ্যে অনলাইনে আছে যা আপনাকে সাহায্য করবে। প্রোফাইল কমপ্লিট করতে পারছেন না? গুগলে গিয়ে সার্চ দিন, “How to complete Elance profile”। প্রপোজাল লেটার লিখতে সাহায্য দরকার? গুগলে সার্চ দিন, “How to write a perfect Elance proposal”। ফটোশপে কাজ করতে গিয়ে আটকে গিয়েছেন, গুগলে গিয়ে Photoshop Help অথবা Photoshop Tutorial Video লিখে সার্চ করুন, দেখবেন হাজার হাজার রিসোর্স আছে সাহায্যের জন্য। যেহেতু আমরা মুক্ত-পেশাজীবী হিসেবে নিজেকে গঠন করতে চাচ্ছি, নিজে থেকেই প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে বের করাটাও আমাদের আয়ত্ত করতে হবে।

এভাবে যদি নিজের ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার শুরু করেন, তাহলে আশা করা যায় খুব কম সময়েই সফলতা পাবেন, এবং সেটি দীর্ঘস্থায়ী হবে।

-
ধন্যবাদ